অর্থনীতিবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি শ্যাক্স শনিবার (১২ এপ্রিল) চতুর্থ আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন: "আমেরিকার যুদ্ধকামী মনোভাব এই অঞ্চলে শান্তি অর্জনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং একশ বছরেরও বেশি সময় আগে ভার্সাই চুক্তির পর থেকে এই অঞ্চল পশ্চিমা শক্তির হস্তক্ষেপের শিকার হয়ে আসছে।"
শ্যাক্স পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে যুদ্ধের পেছনে আমেরিকাকে চালিকা শক্তি বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন: "যতক্ষণ না এই অঞ্চলে প্রকৃত কূটনীতি পরিচালিত হয় এবং আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এর কার্যক্রম শেষ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না।"
শ্যাক্স বলেন: "মার্কিন সরকার এবং তার মিত্র ইসরাইল এই অঞ্চলে অনেক সংকট এবং যুদ্ধের জন্য দায়ী এবং তাদের কর্মকাণ্ড ইচ্ছাকৃত।"
তিনি বলেন: "আমেরিকা যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে সম্ভবত এ অঞ্চলে চলমান যুদ্ধগুলো শেষ হয়ে যাবে।" এমন এক সময়ে শ্যাক্স এই সমালোচনা করেছেন যখন গাজার বিরুদ্ধে এক বছর ধরে চলা যুদ্ধের সময় ইসরাইলি সরকার ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
শ্যাক্স বলেন: "গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনে গোয়েন্দা, সামরিক ও নৌ সহায়তা প্রদান করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আজ গাজায় যা ঘটছে তার সবই ওয়াশিংটনের পূর্ণ সহযোগিতার কারণে।"
জেফ্রি শ্যাক্স সিরিয়ার সংকট এবং এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনিএই সংকটের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন: সিরিয়ায় যুদ্ধ (২০১১ সালে) বারাক ওবামার (তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট) সরাসরি নির্দেশে শুরু হয়েছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরো বলেছেন: " কেউ যদি মনে করে যে যুক্তরাষ্ট্র আরব দেশ, তুরস্ক বা ইরানের স্বার্থ পূরণ করবে, তাহলে বুঝতে হবে সে ভুলের মধ্যে আছে। কারণ সাম্রাজ্যবাদীরা অন্যদের জন্য কাজ করে না।"
জাতিসংঘের এই পরামর্শদাতা তার বক্তৃতার শেষে, বিদেশী হস্তক্ষেপ ছাড়াই এই অঞ্চলে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান এবং জোর দিয়ে বলেন যে এক শতাব্দী আগে শুরু হওয়া সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিভাজন ও শাসন নীতি পরিত্যাগ করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। #
342/
Your Comment